বিএসইসিতে একই বিভাগে ১২ বছর ধরে ক্ষমতাধর নজরুল ইসলাম

শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পদায়ন বা দায়িত্বের পরিবর্তন একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। কমিশনের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সময়ে সময়ে পদায়ন হয়। কিন্তু কমিশনের বর্তমান অতিরিক্ত পরিচালক মো. নজরুল ইসলামের চেয়ারে পরিবর্তন হয় না। তিনি বিএসইসির শীর্ষ কর্মকর্তা ঘনিষ্ঠতার সুবাধে একইপদে রয়েছেন শুরু থেকে।

মো. নজরুল ইসলাম বিএসইসিতে সুপারভিশন ও রেগুলেশন বিভাগে রয়েছেন। যিনি অতিরিক্ত পরিচালক পদে থাকলেও প্রভাব বা ক্ষমতা খাটান নির্বাহি পরিচালকের পদের। যাকে অনেকে আরও বড় ক্ষমতাধর বলেও সম্মোধন করেন।

বিএসইসির শীর্ষ কর্মকর্তা ঘনিষ্ঠ কমিশনের বর্তমান অতিরিক্ত পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম চাকরিতে যোগদানের পর থেকে টানা ১২ বছর একই বিভাগে একই দায়িত্ব পালন করছেন। কখনো তার পদায়ন বা দায়িত্ব পরিবর্তন হয় না। অথচ বিএসইসির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ এটি।

এই বিভাগের আওতায় রয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জ তদারকি, উদ্যোক্তা/পরিচালকদের শেয়ার ধারন তদারকি, শেয়ার হস্তান্তর, তালিকাভুক্ত কোম্পানির মূল্য সংবেদনশীল তথ্য (পিএসআই) তদারকি, কোম্পানির পর্ষদ পুনর্গঠন, ট্রেক ইস্যু, এসএমই মার্কেট, অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড, জেড ক্যাটাগরির কোম্পানির কমপ্লায়েন্স, ক্যাপিটাল মার্কেট স্টাবিলাইজেশন তহবিল এবং শেয়ারবাজার সংক্রান্ত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।

নজরুল ইসলাম অতিরিক্ত পরিচালক হলেও প্রকৃতপক্ষে ক্ষমতাধর আরও বেশি। যে কারনে তাকে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অনেকেই ভয় পায়।

শেয়ারবাজারে আরেক আতঙ্কের নাম বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক এস কে মোঃ লুৎফুল কবির। যে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাপিটাল মার্কেট রেগুলেটরি রিফর্মস অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স বিভাগে থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে অন্যায়ভাবে সুযোগ দিয়ে অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন। এর মাধ্যমে হয়েছেন কোটি কোটি টাকার মালিক। যিনি বেক্সিমকোর আলোচিত ৩ হাজার কোটি টাকার সুকুক বন্ড ও সোনালি পেপারের রাইট ইস্যুতে আইন পরিবর্তন করে অন্যায়ভাবে ওই ২ কোম্পানিকে সুযোগ করে দিয়েছেন। এছাড়া দূর্বল কোম্পানির পর্ষদ ভেঙ্গে দখল নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। এমনকি আইন পরিবর্তন হওয়ার আগে ও পরে বেনামে শেয়ার কিনে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।