ঢাকা, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

লাভেলোর নামে ঋণ নিয়ে পরিচালকদের ব্যক্তিগত কোম্পানিতে অর্থ পাচার

২০২৫ মে ০৩ ১০:৩৪:৩১
লাভেলোর নামে ঋণ নিয়ে পরিচালকদের ব্যক্তিগত কোম্পানিতে অর্থ পাচার

অভিনব প্রতারণায় নেমেছে লাভেলো আইসক্রীম। পরিশোধিত মূলধনের থেকে বেশি ঋণের পাহাড়ের চাপায় পিষ্ট এ কোম্পানিটি থেকে উদ্যোক্তা/পরিচালকদের ব্যক্তিগত কোম্পানিতে ১৫ কোটি টাকার বেশি পাঁচার করা হয়েছে। এতে করে সুদজনিত ব্যয় বহন করছে লাভেলোর মালিকরা। যেখানে কোম্পানিটির ৪০% উদ্যোক্তা/পরিচালকদের বাহিরে ৬০% মালিকানার সাধারন বিনিয়োগকারীরাও রয়েছে। তবে ওই ঋণ নিয়ে উদ্যোক্তা/পরিচালকদের ব্যক্তিগত কোম্পানিতে অর্থ পাঁচার করায় লাভবান হচ্ছে শুধুমাত্র তারাই। আর ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে লাভেলোর শেয়ারহোল্ডাররা।

লাভেলো কোম্পানিটি অনেক ঋণে জর্জরিত। ফলে গুণতে হচ্ছে অনেক সুদজনিত ব্যয়। ৯৩.৫০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধনের এ কোম্পানিটির গত ৩১ ডিসেম্বর বিভিন্ন ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানির কাছে দায়ের পরিমাণ রয়েছে ১৩৬.৭৮ কোটি টাকা। এরমধ্যে দীর্ঘমেয়াদি ৭৯.২০ কোটি টাকার ঋণ ও ২৫.৫৮ কোটি টাকার লীজজনিত দায় রয়েছে। এছাড়া ২২.৬৩ কোটি দীর্ঘমেয়াদি ঋণের কারেন্ট পোরশন ও ৯.৩৭ কোটি টাকার লীজের কারেন্ট পোরশন হিসাবে দায় রয়েছে।

ঋণে জর্জরিত থাকা লাভেলো থেকে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা/পরিচালকদের ব্যক্তিগত কোম্পানিতে অগ্রিমের নামে ১৫.০৯ কোটি টাকা পাচাঁর করা হয়েছে। তৌফিকা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড নামের এক কোম্পানিকে বিনাসুদে এ অর্থ দেওয়া হয়েছে। এতে করে লাভেলোর উদ্যোক্তা/পরিচালকেরা ওই কোম্পানির মাধ্যমে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হচ্ছেন। কিন্তু ওই অর্থের কারনে সুদ দিতে হচ্ছে লাভেলো আইসক্রীমকে। এতে করে লাভেলোর উদ্যোক্তা/পরিচালকদের বাহিরে কোম্পানিটির সাধারন মালিকানায় থাকা ৬০% শেয়ারহোল্ডাররা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।

এসব কারনেই শিবলী রুবাইয়াতের নেতৃত্বাধীন বিগত কমিশন কোম্পানিগুলোর এমন প্রতারণারোধে কঠিন ভূমিকা নিয়েছিল। যাতে করে স্কয়ার ফার্মা থেকে শুরু করে অসংখ্য কোম্পানি এ জাতীয় অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য হয়।

অর্থ পাচার ছাড়াও শেয়ার কারসাজির জন্য আর্থিক হিসাবে ভয়াবহ জালিয়াতি করে লাভেলো কর্তৃপক্ষ। যেখানে কোম্পানিটির অস্বাভাবিক আয় বেশি দেখানো হয়। তবে ব্যয় কমিয়ে দেখানো হয়।

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে